ডিভোর্সের পেছনে আসলে কার হাত আছে ?

পরিবারে বিবাহবিচ্ছেদ বা ডিভোর্সের ইতিহাস থাকলে তা পরিবারের অন্যদেরকেও প্রভাবিত করতে পারে- এটা একটা পুরনো ধারণা। কিন্তু এই ধারণা কি আসলে সত্যি? আর তা যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তার পেছনে কারণ কী?
এ ব্যাপারটা খতিয়ে দেখবার জন্য ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি এবং সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা দত্তক নেওয়া মানুষদের বিবাহিত জীবন পর্যবেক্ষণ করেন। দেখা যায়, পালক পিতামাতা নয় বরং আসল পিতামাতার বংশের ইতিহাসটাই তাদের বিবাহিত জীবনকে প্রভাবিত করে। এই গবেষণাটি প্রকাশিত হচ্ছে সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স জার্নালে। গবেষকেরা বলেন, এ থেকে দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু ডিভোর্সের পেছনে বংশগতি বা জেনেটিক্স এর প্রভাব রয়েছে।
পুরনো গবেষণাগুলোতে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই পিতামাতা যদি ডিভোর্সড হয়, তাহলে তাদের মাঝে ডিভোর্সের সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি সেসব দম্পতির তুলনায় যাদের দুজনেরই পিতামাতা একত্রে আছেন। এ ব্যাপারটা, যাকে মাঝে মাঝে ডিভোর্স সাইকেল বলা হয়, এর একটা ব্যাখ্যা হতে পারে এরকম, যে তারা পিতামাতার ডিভোর্স থেকেই প্রভাবিত হন এবং তাদের মাঝে ডিভোর্সের প্রবণতা সেখান থেকেই আসে। তিনি বড় হন পিতামাতার মাঝে মনোমালিন্য দেখে, আর নিজের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তিনি নিজের অজান্তে একই প্যাটার্ন অনুসরণ করেন।
তবে অতীতের এসব গবেষণায় কখনো বংশগতি বা জিনের ব্যাপারটাকে আমলে আনা হয়নি বলে জানান VCU এর সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর জেসিকা সালভাটর। তাদের গবেষণাই হলো এ বিষয়ে বর্তমানে সবচাইতে বড় গবেষণা। তাদের ফলাফলে দেখা যায় যে, বংশ পরম্পরায় বারবার ডিভোর্সের ঘটনাটা ফিরে আসার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে জিন। এ কারণে একজোড়া দম্পতির মাঝে সম্পর্ক ভালো করার জন্য থেরাপিস্ট যতই চেষ্টা করুক না কেন, তা সবসময় কাজে আসে না।
“আমাদের এই গবেষণার ফলাফল বেশ গুরুত্বপূর্ণ”, জানান তিনি। “আগের প্রায় সব গবেষণাতেই বলা হয় বংশ পরম্পরায় ডিভোর্স বারবার ঘটার কারণটা মনস্তাত্বিক।”
তবে তারমানে অবশ্যই এটা না, যে আপনার বংশে ডিভোর্সের ইতিহাস থাকলে আপনারও ডিভোর্স হতে বাধ্য। গবেষকেরা এ ব্যাপারে জোর দিয়ে বলছেন যে, এক্ষেত্রে জেনেটিক ফ্যাক্টর সেই মানুষটির জীবনে প্রভাব রাখে বটে, এবং আমাদের সম্পর্কগুলোকেও সেভাবে প্রভাবিত করে। এ ব্যাপারটা মাথায় রাখলে এমন মানুষদের সম্পর্ক নিয়ে সমস্যাগুলো সমাধান করা সহজ হবে।
উদাহরণ হিসেবে সালভাটর বলেন, অন্যান্য রিসার্চে দেখা যায় যারা বেশি খুঁতখুঁতে তারা মনে করে সঙ্গী বেশি বেশি সমস্যা তৈরি করছে (আসলে হয়ত তা করছে না)। তাই সঙ্গীর জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে ডিভোর্সের প্রবণতা থাকতে পারে, এটা জানলেও আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার সঙ্গীর সাথে কেন সমস্যাগুলো হচ্ছে। তার আচরণের পেছনের কারণটা জানা থাকলে সহজ হবে সম্পর্কের সমস্যাগুলো মিটিয়ে ফেলা।
সূত্র: IFLScience
আরো খবর »
-
বুকের লোম ফেলে দিলে কী গুনাহ হবে?
-
১০ হাজার জামাইয়ের সঙ্গে বৈশাখের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন অপু!
-
ভাল আম চিনবেন কীভাবে?
-
মানব শরীরে নতুন অঙ্গের সন্ধান!
-
ঈদে মুক্তি পাচ্ছে 'পবিত্র ভালোবাসা'
-
নিজেই নিজের গডফাদার পিয়া
-
শাকিব খানের সঙ্গে চট্টগ্রামে বুবলি
-
ফিনল্যান্ডবাসী বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ
-
রাগ চেপে রাখা ক্ষতিকর কেন? জেনে নিন