যুবলীগ নেতা শহীদ এয়াছিন মেম্বারের অসহায় পরিবারের পাশে আঃলীগ নেতা দিদারুল আলম

জেলা প্রতিনিধি, স্বাধীনবাংলা২৪.কম
খাগড়াছড়ি থেকে মোঃ আবদুর রউফঃ ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৮ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার এলোপাতারি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় তৎকালীন তাইন্দং ইউনিয়নের যুবলীগের সহ সভাপতি শহীদ এয়াছিন মেম্বারের। ইতোমধ্যে চরম আর্থিক সংকটে দিনাতিপাত করছিল পরিবারটি। খবর পেয়ে পরিবারটির প্রতি আর্থিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম। এসময় তিনি গণমানুষের জন্য ইয়াছিন মেম্বারের রাজনীতির স্বীকৃতি দিয়ে ইয়াছিন মেম্বারের দুই মেয়ের লেখাপড়া ও ঐ পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্বভারও গ্রহণ করেন।
১৪সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরের দিকে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এয়াছিন মেম্বারের তাইন্দংয়ের বাড়িতে যান খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম। এয়াছিন মেম্বারের কবর জিয়ারত শেষে তিনি নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি রাজনীতির শিকার ইয়াছিন মেম্বারের স্ত্রীর হাতে ব্যক্তিগত অনুদানের নগদ ১৪ হাজার টাকাসহ ৬৪ হাজার টাকার অনুদান তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থ্যইমং মারমা, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নির্মল ত্রিপুরা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহির উদ্দিন ফিরোজ, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ইমাম হোসেন মানিক, নুরুল আলম রনি, ফারুখ আহমেদ, মোঃ মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সাহাব উদ্দিন পলাশ, জেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ সভাপতি কুশল চাকমা, পৌর ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি উজ্জল মারমা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহীন সরকারসহ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
২০০১ সালে তৎকালীন বিএনপি চারদলীয় জোট ক্ষমতায় থাকা কালে তাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ড দিয়েই শুরু হয়েছিল তৎকালীন আওয়ামীলী পরিবারের উপর আঘাতের সূচনা। সে সময় মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি ছিলেন তিনি।
এছাড়াও মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হাশেম’র চিকিৎসার জন্য দশ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলম।