গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এখন চাল কিনতে মানুষের আয়ের ৩২ শতাংশ খরচ হয়ে যাচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসবের যোগান সরকারের দেওয়ার কথা। কিন্তু তারা তা দিতে পারছে না।
দেশ পরিচালনায় সরকার চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশি ঋণ নিয়ে সরকার টিকে থাকতে চাইছে, এভাবে টিকে থাকা সম্ভব নয়।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'সংবিধানের ৫০ বছর এবং নাগরিক ভাবনা' শীর্ষক এক আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকারকে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পুলিশ-আমলা ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসে থাকতে চাইছে। এভাবে আসন্ন বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলা করা যাবে না। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে, সুষ্ঠু নির্বাচনই গণতন্ত্রের ভিত্তি।
তিনি আরো বলেন, সরকারের উচিত সকলের সঙ্গে সংলাপে বসা। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করলে আমরা সরকারকে অভিনন্দিত করব।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সকলের উচিত রাস্তায় নামা। ঘরে ঘরে গণতন্ত্রের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে, যাতে মানুষ সচেতন হয়। আমরা যদি মনে করি ঘরে বসে অধিকার আদায় হবে এটি হবে ভুল।
আলোচনায় সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, সংবিধানে বলা আছে জনগণ সব ক্ষমতার উৎস। আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের ক্ষমতা প্রয়োগ না করতে পারলে সব ব্যর্থ হবে। দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরিচালনা করার কথা ছিল। এ বিষয়ে সব রাজনৈতিক দল রাজিও ছিল কিন্তু পঞ্চম সংশোধনী তা বদলে দিয়েছে। সংবিধানের চতুর্থ এবং পঞ্চম সংশোধনী সবচেয়ে খারাপ সংশোধনী। সংবিধান কাটাছেঁড়া করতে করতে হ-য-ব-র-ল হয়ে গেছে।
আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য রাখেন দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।