উধাও কুসুম শিকদারের বিতর্কিত মিউজিক ভিডিও ‘নেশা’

স্বাধীনবাংলা২৪.কম
বিনোদন প্রতিবেদক: মামলা দায়েরের পর অবশেষে রোববার রাতে ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হল অভিনেত্রী কুসুম শিকদারের কণ্ঠে ধারণ করা গান ‘নেশা’।
১৭ সেপ্টেম্বর মিউজিক ভিডিওর নামে পর্নোগ্রাফির অভিযোগে অভিনেত্রী কুসুম শিকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার নাজমুল আহসান।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে একই দিন রমনা থানাকে অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
গত ৩ আগস্ট ‘বঙ্গ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ইউটিউব চ্যানেল ‘বঙ্গবিডি’ থেকে অভিনেত্রী কুসুম শিকদারের ‘নেশা’ শিরোনামে একটি মিউজিক ভিডিও মুক্তি পায়।
মুক্তির পর থেকে ভিডিওতে কুসুম শিকদারের খোলামেলা ও আবেদনময়ী উপস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে জোর সমালোচনা শুরু হয়। পরে ১৩ আগস্ট গানটির সব বৈধ-অবৈধ ভিডিও ও টিজার ইউটিউব থেকে সরানোর জন্য বাদীর পক্ষের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী রাগিব আইনি নোটিশ দেন।
তারপরও গানটি না সরানোয় এর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর ৮ ধারায় মামলা হয়। অবশেষে গানটি ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
প্রসঙ্গত, রোজার আগে অনলাইনে গানটির অডিও প্রকাশ পায়। তখন ওই গান নিয়ে মুগ্ধতা বা আলোচনা দূরে থাক, খুব একটা নজরেই পড়েনি। কুসুম শিকদারে নামের কারাণে হয়তো কিছু উৎসুক মানুষ ঢুঁ মেরেছে।
জুনের শেষ দিকে গানটির ভিডিওর টিজার প্রকাশ পায়। ফার্স্ট লুকেই দর্শক নড়ে-চড়ে বসে। ৩ আগস্ট আসে পূর্ণ ভিডিও। প্রকাশ পেতেই উন্নাসিক দর্শক আচমকা যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ে। নেশা কার্যত তখন দর্শকমনে নেশাই ধরিয়ে দিল! তবে এই আকর্ষণের কারণ, কতটা গান আর কতটা ‘চেনা কুসুমের অচেনা রূপ’। এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোর বিতর্ক জমে গেল।
বিতর্কের পারদ যত চড়া হয়, ‘ভিউয়ারের মিটারটাও তত উঁচু হয়। বিতর্কের তালগোলে ১৩ আগস্ট ভিডিওটা ‘লিগ্যাল নোটিশ’ আক্রান্ত হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী রাগিবের পাঠানো ওই নোটিশে নেশাকে অশ্লীলতা ও অতি যৌনতার অভিযোগে বিদ্ধ করা হল। যৌনতার ঘোড়ায় চেপে ‘হিট’ এর সোনার হরিণ শিকারের দৃষ্টান্ত হিসেবে আখ্যা দেয়া হল। এমনকি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভিডিওটি ইউটিউব থেকে সরানোর আলটিমেটাম দেয়া হল। কিন্তু ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম ছাড়িয়ে গেল মাসের কোটা। অথচ মামলার নাম নেই। কেউ কেউ ভাবল, ‘মামলা-টামলা কিছু না। এ স্রেফ প্রচার পাওয়ার কৌশল।’
অবশেষে মামলার পর সব বিভ্রান্তির অবসান হল। ‘নেশা’ গানটি সরানো নিয়ে আইনজীবী আফতাব উদ্দিন ছিদ্দিকী রাগিব বলেন, বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচক। তবে এ গানের বিরুদ্ধে আইনি যাত্রা গোটা সংস্কৃতির জন্য একটি বার্তা। নিশ্চয়ই অসংখ্য নেশা বা আরও কুরুচিকর ‘নেশা’ অনলাইনে আছে। তবে আমরা চাই- অন্তত একটি নেশাকে থামাতে। মিউজিক ভিডিওর নামে যৌনতার কাটপিস ট্রেন্ডকে রুখতে। যাতে আগামীতে আর কোনো নেশা না হয়। আর কেউ নেশাগ্রস্ত না হন।
স্বাধীনবাংলা২৪.কম/এমআর