বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগ

স্বাধীনবাংলা২৪.কম
ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক তরুণী। রাজধানীর শাহবাগ থাকায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন তার বাবা।
হাসপাতালের চর্ম ও যৌন বিভাগের একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সোমবার শাহবাগ থানায় ওই মামলা হয় বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, চিকিৎসার জন্য ভোলা থেকে ঢাকায় আসার পর ওই চিকিৎসক তরুণীটিকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
তবে ওই চিকিৎসক পুরো ঘটনাটিকে বানোয়ার দাবি করেছে। বলেছেন, তার কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিল ওই তরুণীর স্বজনরা। এ বিষয়ে তাদের পাঠানো এসএমএস তার মোবাইল ফোনে এখনও আছে।
যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতালের একজন মেডিকেল অফিসার এবং তিনি উচ্চতর কোর্সে পড়ছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
মামলায় বলা হয়, গত ৩ জানুয়ারি বাবার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে আসামি চিকিৎসকের কাছে আসেন ওই তরুণী। অন্য ডাক্তারদের দেখাতে হবে বলে বাবাকে বসিয়ে রেখে ওই চিকিৎসসক তাকে ‘বি’ ব্লকের চারতলার একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
পুলিশ জানায়, পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার ভর্তি হন ওই তরুণী। সেখানে চিকিৎসা শেষে সোমবার মেয়েকে নিয়ে থানায় এসে মামলা করেন তার বাবা।
শাহবাগ থানার ওসি জানান, ওই তরুণী মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামরুল হাসান খান বলেন, ‘সে যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। তবে সে অপরাধী কি না, সেটাও নিশ্চিত হতে হবে। নিরাপরাধ কেউ যেন শাস্তি না পান সে বিষয়টিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’
তবে যে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তিনি জানিয়েছেন, ওই তরুণী তার কাছে অক্টোবর থেকে চিকিৎসা করাতেন। মাসে একবার তার কাছে আসতেন তিনি। গত ৩১ ডিসেম্বর এখানে যোগাযোগ না করে আসায় তরু তরুণীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করলে তারা চলে যায়। এরপর তারা ধর্ষণের অভিযোগ আনে ফোনে।
এরপর তরুণীর মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস করে টাকা চাওয়া হয় জানিয়ে ওই চিকিৎসক জানান, এরপর তিনি শাহবাগ থানায় ওসি আবুল হোসেনকে তা জানিয়েছিলেন।
স্বাধীনবাংলা২৪.কম/এমআর