বেআইনি সালিশ বন্ধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের দাবি

বেআইনি সালিশ বন্ধে হাইকোর্ট বিভাগের রায় বাস্তবায়নে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পরিষদের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে ঢাকা মহানগরের দোহারে নারী ধর্ষণ ও প্রভাবশালীদের সালিশ করে ধর্ষককে শুধুমাত্র ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিষদ। এসময় এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওই সালিশে ধর্ষককে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু ওই নারী টাকা না নিয়ে বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রীর স্বীকৃতি চান। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঘটনার শিকার নারীকে বেআইনী সালিশের মাধ্যমে অপবাদ দিয়ে নানাভাবে হয়রানি ও নারীর মর্যাদাহানী এবং জরিমানার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে। যারা এই ধর্ষণের ঘটনার বেআইনী সালিশের সঙ্গে জড়িত তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে।
একই সঙ্গে এই বিবৃতিতে বেআইনি সালিশ বন্ধে হাইকোর্ট বিভাগের রায় বাস্তবায়ন এবং ধর্ষণ, গণধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন, পারিবারিক সহিংসতা এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা প্রতিরোধে সকল সামাজিক শক্তিকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।