উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে না কোন এজেন্ট এর কাছে: অভিভাবকদের ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :-দামুড়হুদা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দেওয়া উপবৃত্তির টাকা সিওর ক্যাশে উত্তোলন করতে গিয়ে তারা ফিরে আসছেন। বাজারে শিওর ক্যাশের কোন এজেন্ট ই টাকা দিচ্ছে না। এতে করে চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে অভিভাবক রা ।
শুধু তাই নয় অতিরিক্ত টাকা না দিলে উক্ত টাকা হতে ১০/২০টাকা কেটে রাখা সহ নানান তালবাহানা করা হচ্ছে। এতে অভিভাবক ও শিক্ষাথীরা পড়েছেন মহাবিপাকে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন না করা হলে সরকারের যে মহতী উদ্যোগ তা ভেস্তে যাওয়ার আশাংখা করছেন সচেতন মহল। জানা গেছে, সরকার দামুড়হুদা উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২২হাজার ১২০ জন শিক্ষার্থীর সরকারী উপবৃত্তির টাকা প্রদান করছেন। সে মোতাবেক শিক্ষাথীরা তাদের ব্যাবহত মোবাইল ফোনে একটি একাউন্ড খোলে। সেই একাউন্ডে সিওর ক্যাশের মাধ্যমে শিক্ষাথীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়।
কিন্তু অধিকাংশ সিওর ক্যাশ এজেন্ট ঘরে শিক্ষাথীদের নিকট হতে ১৫০/টাকায় ১০/টাকা এবং ৩০০/টাকায় ২০/টাকা হারে টাকা কেটে রাখছেন। আর অতিরিক্ত টাকা না দিতে চাইলে শিক্ষাথীদের টাকা উত্তোলন করা অসম্ভাব হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, একবার কোন শির্ক্ষাথী নিদিষ্ট একটি এজেন্ট ঘরে গিয়ে টাকা তুললে পরবর্তিতে সেই ঘরে টাকা তুলতে না গেলে টাকা উত্তোলন করা করা সম্ভাব হচ্ছে না। কারণ সেই এজেন্ট পিন নাম্বারটি নিজের আওতায় রেখে দিচ্ছেন। ফলে একপ্রকার সিওর ক্যাশ এজেন্টের কাছে তারা জিন্মি হয়ে পড়েছেন।
গত কয়েক দিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই ধরনের একাধিক অনিয়ম দুনীতি ও নানা ভোগান্তির অভিযোগ করলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন,সরকারী নিয়মানুয়ী টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে শিওর ক্যাশ এজেন্টের কাছে গেলেই তিনি টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু দামুড়হুদা বাজারের কোন এজেন্টই উপবৃত্তির টাকা দিচ্ছে না। টাকা তুলতে আসা অভিভাবকদের মধ্যে দেওলী গ্রামের আ:সালাম, নাপিতলাির গাফ্ফার, হাতিভঙ্গার রবজেল, চিৎলার তহুমিনা জানালেন, টাকা তুলতে শিওর ক্যাশ এজেন্ট স্বপন টেলিকম, রংধনু টেলিকম, পায়েল টেলিকম সহ কোন এজেন্টই টাকা দিতে চাইছে না। সবাই বলছে ঈদের পর ছাড়া উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হবে না।
এব্যাপারে জানতে চাইলে দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম জানান, রুপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের সফটওয়্যার জনিত সমস্যায় এমন হয়েছে। যে শিক্ষার্থীদের ৩০০টাকা দেওয়ার কথা তাদের ৬০০ টাকা ও যাদের ৬০০ টাকা দেওয়ার কথা তাদের ১৫০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।এ কারনে এজেন্ট দেরকে টাকা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি তারা জানিয়েছে সফটওয়্যার জনিত সমস্যায় এমনটা হয়েছে। খুব দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তারা।