ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত গোপালগঞ্জের কামার শিল্পীরা

গোপালগঞ্জ থেকে এস এম সাব্বিরঃ গোপালগঞ্জে গ্রামীণ প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী কামার শিল্প নানা সংকটে আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব, কারিগরদের মজুরী বৃদ্ধি, তৈরি পণ্যসামগ্রী বিক্রয় মূল্য কম, কয়লার মূল্য বৃদ্ধি, বিদেশ থেকে বড় বড় ব্যবসায়ীদের স্টীল সামগ্রী আমদানিসহ চরম আর্থিক সংকট ও বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে গোপালগঞ্জের কামার শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে।
মাত্র কয়েকদিন পর ঈদুল আযহা (কোরবানীর ঈদ) তাই ভাঁতির ফাসফুস আর হাঁতুড়ি পেটার ঠুক ঠাক, টুং টাং শব্দে মুখর এখন কামারশালাগুলো। কোরবানীর পশুর মাংস কাঁটাকাটি আর চামড়া ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত চাপাতি, দা, ছুরি, বটিসহ কিছু ধারালো জিনিস তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কর্মকাররা। এসব ধারালো অস্ত্র চাহিদা মতো সরবরাহে কামার শিল্পীরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কোরবানীর সময়টাতে কাজের চাপ অনেক বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় তাদের আয়-রোজগারও। তাদের বছরে দুর্দিন থাকলেও এখন সুদিন।
খকন কর্মকার জানান, বাপ-দাদার পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া পেশা লোহা পিটিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা। সারা বছর কাজ-কর্মের ব্যস্ততা তেমন না থাকলেও কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে আমাদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। এক সময় এলাকার মানুষের ঘুম ভাঙতো কামারের হাতিয়ারসহ অন্যান্য লোহার উপকরন তৈরীর ঠুং ঠাং শব্দের সাথে। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই। এই শিল্প হারিয়ে না যায় সেজন্য সরকারের সহযোগিতা ও ঋণের প্রত্যাশা করেন তিনি।